চার কেজি ৬৬৫ গ্রাম ওজনের এসব সোনার বারের আনুমানিক দাম আড়াই কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
আটকরা হলেন- জেসমিন আক্তার (৩৫) ও পারভিন আক্তার (২৫)।
জেসমিন আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন কাঠগড় গ্রামে। বিবাহিত জেসমিন চট্টগ্রামের গ্লোরি ফ্যাশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার।
আটক পারভীন আক্তারের বাড়ী চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন মাদারবাড়ী এলাকায়। তিনি বিউটি পারলারে কাজ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, শনিবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের মাস্কাট-চিটাগাং-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আরএক্স৭২৪ ফ্লাইটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসেন ওই দুই নারী।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিমান বন্দরের ডমেস্টিক অ্যারাইভাল এলাকায় অবস্থান নেয় গোয়েন্দারা।
“সকাল পৌনে ৯টার দিকে মাস্কাট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আসা ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে নামে। যাত্রীরা নামার পর শুল্ক গোয়েন্দারা ওই দুইজনকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে আর্চওয়েতে হাটিয়ে ও মেটাল ডিটেকটর দিয়ে পরীক্ষা করে তাদের কাছে সোনা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ”
দুইজনের কাছে ২০টি করে সোনার বার ছিল বলে জানান তিনি।
মইনুল খান জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জালাল নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তাদেরকে সোনার বারগুলো দিয়েছিল এবং তারা বিমানে উঠার পর শরীরের ভিতরে সোনাগুলো লুকিয়ে ফেলেন।