বৃষ্টি খেতে দিত না, লাঠি দিয়ে মারত: সুমাইয়া

অপহরণের পর সুমাইয়াকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে সাবিনা আক্তার বৃষ্টি দাবি করলেও তা ভেসে গেছে আদালতে শিশুটির কথায়।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 04:17 PM
Updated : 27 April 2017, 04:26 PM

ঢাকার জুরাইন থেকে পাঁচ বছরের সুমাইয়াকে উদ্ধারের সময় গ্রেপ্তার বৃষ্টি ও সিরাজ মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ।

ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় বৃষ্টির কাছে জানতে চান, সুমাইয়াকে কোনো মারধর করেছেন?

উত্তরে বৃষ্টি বলেন, মারধর করা হয়নি।

এরপর আদালতে উপস্থিত সুমাইয়া বিচারকের জিজ্ঞাসায় বলে, “আমাকে খেতে দিত না, লাঠি দিয়ে মারত।”

কাঁদতে কাঁদতে নিজের পায়ে আঘাতের দাগও দেখায় শিশুটি।

উদ্ধারের পর মায়ের কোলে সুমাইয়া

শুনানি শেষে হাকিম প্রণব হুই আসামি বৃষ্টি ও সিরাজকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

অপহরণ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গী চর থানার এসআই রাজিবুল ইসলাম ওই দুজনকে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তে ১০ দিন হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিলেন।

গত ৩ এপ্রিল কামরাঙ্গীর চরের বড়গ্রাম থেকে অপহরণ করা হয় স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক জাকিরের মেয়ে সুমাইয়াকে। জাকির প্রথমে একটি সাধারণ ডায়রি করেন, পরে করেন অপহরণের মামলা।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে জুরাইনের রহমতবাগ এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখন গ্রেপ্তার করা হয় বৃষ্টি ও সিরাজকে।

বিচারকের প্রশ্নে বৃষ্টি জানান, সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল।

শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে সাংবাদিকদের জানান পুলিশের তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন।