বৃষ্টির পানি আর পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ হাওর অঞ্চলের বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় এসব অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষক-ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।
Published : 08 Apr 2017, 09:42 PM
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলের কৃষকদের নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ও ক্ষেতমজুর সমিতি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদাররা কাজ শেষ না করেই সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এসব ফসলরক্ষা বাঁধে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় তা ভেঙে কৃষকের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
দুর্বল বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ঠিকাদারসহ দায়ীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, এসব অসৎ কর্মকর্তা ও লোকরা প্রতিবছরই হাওরের সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এদের বিচারের আওতায় না আনলে হাওরবাসীরাই এদের প্রতিহত করবে।
কম দামে খাদ্য সরবরাহসহ ঋণের কিস্তির সব কার্যক্রম বন্ধ, সুদছাড়া নতুন ঋণের ব্যবস্থা, স্কুল-কলেজের বেতন মওকুফ, স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নানামুখী কর্মসূচি নেওয়ারও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
এছাড়াও অবিলম্বে শস্যবীমা চালু, কর্মহীন ক্ষেতমজুরসহ গ্রামের গরিব মানুষের জন্য সারা বছর কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তার দাবিও জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশটি পরিচালনা করেন ক্ষেতমজুর সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ‘বাঁচাও হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ’ আন্দোলনের ঢাকার শিক্ষার্থী ও সুনামগঞ্জ সমিতির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।