ওই যুবকের পরিচয় শনাক্তের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন বলে রোববার সন্ধ্যায় জানান বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আজম মিয়া।
আয়াদ হাসান খান নামে ওই তরুণের পরিবারের সদস্যরা তার পরিচয় শনাক্ত করেছেন বলে একটি দৈনিকে খবর প্রকাশের পর তার মা মুনমুন আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাফরুল থানার ওসি আমাকে কিছু বলতে নিষেধ করেছেন। আমি কিছু বলতে পারব না।”
পরে কাফরুল থানার ওসি শিকদার মো. শামীমের কাছে জানতে চাওয়া হয় ওই যুবকই আয়াদ কি না।
জবাবে তিনি বলেন, “এখনো কিছুটা কনফিউশন রয়েছে।”
ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আয়াদ। তবে এখনও নিশ্চিত হতে কাজ চলছে।”
এরপর আর তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিমানবন্দর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরণে নিহত যুবকের কাছে একটি মোবাইল পাওয়া যায় বলে এ ঘটনায় মামলা দায়েরকারী বিমানবন্দর থানার এসআই ইয়াসিন খন্দকার জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই যুবকের সঙ্গে আমরা একটা মোবাইল ফোন পেয়েছি। সিম্ফনি ব্র্যান্ডের মোবাইলটি লক করা অবস্থায় ছিল।”
ওই যুবকের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলিতে তিনটি বোমা পায় পুলিশ।
ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “ওই যুবক ট্রলি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে, এতে তার মৃত্যু হয়। এটি কোনো হামলার ঘটনা নয়।”
এসআই ইয়াসিন বলেন, “বোমা সে একা তৈরি করে না, হয়তো অন্য কেউ বোমা তৈরি করে কোথাও পৌঁছে দিতে তাকে পাঠিয়েছে। সে হয়ত নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের অথবা সন্ত্রাসী হতে পারে।”
এর আগে গত ১৭ মার্চ আশকোনায় র্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে একজন নিহত ও পরের দিন ১৮ মার্চ ভোরে খিলগাঁওয়ের ‘শেখের জায়গার’ এলাকার পাশে র্যাবের তল্লাশী ক্যাম্পে অপর একজন গুলিতে নিহত হলেও তাদের পরিচয় এখন নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন তাবারুল হক]