সরকার প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার এবং শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে স্বাধীনতার ৪৬তম বার্ষিকী উদযাপন করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Published : 26 Mar 2017, 07:27 PM
খ্যাতনামা শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান এবং শিশুশিল্পী ও সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্চ্ছনা অনুষ্ঠানের অতিথিদের মুগ্ধ করে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ; সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সংগীত। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন দুজনেই।
এরপর বঙ্গভবনের মাঠে ভিভিআইপি এনক্লোজারে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানও এসেছিলেন বঙ্গভবনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিভিআইপি এনক্লোজারে বসেন।
বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা না গেলেও দুই বছর আগে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া শমসের মবিন চৌধুরী এ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ব্রিটিশ হাই কমিশনার এলিসন ব্লেইক, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, পাকিস্তানের হাই কমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অতিথি হয়ে।