হাজারো বাঙ্গালিকে হত্যার নৃশংসতম ঘটনার সাক্ষী মিরপুরের জল্লাদখানা; ৪৬ বছর আগের সেই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে এবার একইস্থানে নেচে-গেয়ে দেশপ্রেমের কথা জানাল শিশুরা।
Published : 25 Mar 2017, 10:47 PM
শনিবার মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নানা আয়োজনে বিভিন্ন সংগঠন তুলে ধরে যুদ্ধদিনের স্মৃতি।
জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের তত্ত্বাবধায়ক কে এম নাসির উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ গণহত্যা দিবস। আজকের দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আশ শামস এবং অবাঙ্গালিরা নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালিদের উপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, “অগণিত সেইসব শহীদদের স্মরণ করতে, শহীদদের স্মৃতিকে লালন করতে, তাদের স্মৃতিকে অন্তরে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ছোট ছোট স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গান, নাটক উপস্থাপন করে থাকে।
“যদিও আজ কালরাত্রি, তবুও এর মাধ্যমে সমস্ত শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করব আমরা।”
অনুষ্ঠানের শুরুতেই চারটি গান ও তিনটি নৃত্য পরিবেশন করে ঘুঙ্গুর সাংস্কৃতিক একাডেমি। সংগঠনটির শিশুরা একে একে গেয়ে শুনায়, ‘বাংলা আমার মা/আমার ভালবাসা’, ‘বাংলা আমার জন্মভূমি/বাংলা আমার মা’, ‘একটি ছড়া/ একটি গান/ একটি কবিতা/স্বাধীনতা স্বাধীনতা’, ‘৩০ লক্ষ জীবন দিয়া আনছি স্বাধীনতা’।
পরে ওয়াইডব্লিউসিএ ফ্রি স্কুলের শিশুরা ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটির মাধ্যমে তাদের পরিবেশনা শুরু করে। লাল-সবুজ শাড়িতে দেশের পতাকাকে ধারণ করে ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠেছে’ গানের মধ্য দিয়ে তারা দলগত নৃত্যও পরিবেশন করে।
মূর্ছনা সঙ্গীত একাডেমি, বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস (বাফা), সঙ্গীত সমাজ কল্যাণপুর, গ্রিনফিল্ড সাংস্কৃতিক একাডেমি, সৌন্দর্য কালচারাল একাডেমি, মম কালচারাল একাডেমি, মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামও (নাটক) একে একে দেশাত্নকবোধক নাচ, গান ও নাটক পরিবেশন করে।
তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা উৎসবের শেষদিন রোববার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের তত্ত্বাবধায়ক কে এম নাসির উদ্দীন।