পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় এক নারীসহ ৪২ জন সাইক্লিস্ট তিন দিন ধরে ২৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে সাজেক ভ্যালি থেকে নীলগিরি পৌঁছাবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, প্রতিযোগীরা ২৩ মার্চ রাঙ্গামাটির সাজেক ডিজিটাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন। ২৪ মার্চ সকালে সাজেক ভ্যালিতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী।
যে পথে ছুটবেন মাউন্টেন বাইকাররা
>> ২৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে যাত্রা শুরু করে মাচালং বাজার, বাঘাইহাট, দীঘিনালা বাজার হয়ে খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছাতে ৬৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ পাড়ি দেবেন বাইকাররা।
>> ২৫ মার্চ সকাল ৭টায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গিব্রিজ থেকে শুরু করে মাইশছড়ি বাজার, মহালছড়ি, কেঙ্গালছড়ি, বেতছড়ি, বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, কুতুকছড়ি, মানিকছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি শহর পর্যন্ত ৭১ দশমিক ৩ কিলোমিটার সাইক্লিং করবেন প্রতিযোগীরা।
>> ২৬ মার্চ সকাল ৭টায় রাঙ্গামাটির আসাম বস্তি ব্রিজ থেকে শুরু করে কাপ্তাই, বড়ইছড়ি, লিচুবাগান, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট, কারিগরপাড়া বাজার, বাঙ্গালহালিয়া, দশমাইল নতুন বাহার, উলুপাড়া, বালাঘাটা, স্বর্ণমন্দির, সাগুব্রিজ, বান্দারবান শহর, মিলনছড়ি, শৈলপ্রপাত, ওয়াইজংশন, চিম্বুক হয়ে নীলগিরি পর্যন্ত বাইকাররা ১০৩ কিলোমিটার পথ ছুটবেন।
সচিব জানান, এক শহর থেকে আরেক শহরে পৌঁছানোর পর প্রতিযোগিদের ‘রেস লগ শিট’ ও ডেটা সরবারহ করা হবে। জানানো হবে রেসের মূল্যায়ন ফলাফল ও পরের দিনের নির্দেশনা।
তিনি বলেন, এই স্পন্সরশিপের আওতায় ভারতে একই ধরনের আরেকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বিজয়ীরা।
আগামী ২৬ মার্চ বিকাল ৩টায় বান্দারবান স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
বান্দারবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সচিব বলেন, “দেশে প্রথমবারের মত এ ধরনের প্রতেযোগিতা হচ্ছে। এবার আমরা সফল হলে প্রতি বছরই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।”
এ প্রতিযোগিতা আয়োজনে এবার কোনো পৃষ্ঠপোষক পাওয়া পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স ও ফিজিও থেরাপিস্টসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“প্রতিযোগীদের আগে-পিছে পুলিশের গাড়ি থাকবে। এছাড়া স্কাউট সদস্য ও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগীদের পানি সরবারহ করবে।”
প্রতিযোগী বাছাইয়ে শারীরিক সক্ষমতা দেখার পাশাপাশি সাইক্লিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং যাদের মাউন্টেন বাইক আছে তাদের বাছাই করা হয়েছে বলে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান।