ঢাকার হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হাই কোর্টের আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল রয়েছে।
Published : 12 Mar 2017, 09:47 AM
ট্যানারি মালিকরা হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছিলেন, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার তা খারিজ করে দিয়েছে।
পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি বন্ধের এই আদেশ দেয়।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সাংসদ তাপস শুনানিতে বলেন, “এখনো আমাদের ক্ষতিপূরণের সব টাকা দেওয়া হয়নি। এখানে অনেক মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত। অন্তত জুন মাস পর্যন্ত সময় দেন।”
আদালত তখন ‘উই আর সরি’ বলে আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
হাই কোর্টের আদেশের দিন রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সরিয়ে নিতে সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিল হাই কোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালে ৩০ এপ্রিলের পর হাজারিবাগে কোনো ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার চলতি বছরের ৩১ মার্চ পযন্ত সময় দিয়েছে।
“সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার আদালতের অনুমতি নেয়নি। ফলে সরকারের সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে আমরা এই আবেদন করি। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত হাজারীবাগের সকল ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ এবং কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দিয়েছে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলার পাশাপাশি এ কাজে সহযোগিতা দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, আইজিপি ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
এছাড়া হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা মিলছে, সে বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরেকটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে একই সময়ের মধ্যে।