বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে চার দশক পর প্রথম নিজস্ব ভবন পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 30 Dec 2016, 09:31 PM
বছরের শেষ দিনে শনিবার রাজধানীর আগাওরগাঁওয়ে নির্মিত ‘নির্বাচন ভবন’ উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন বছরে ইসির এটাও এক নতুন যাত্রা। স্বাধীনতার পর কমিশনের প্রথম কোনো নিজস্ব ভবন হচ্ছে।”
পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের পাশে নির্মিত দুই লাখ ৫৮ হাজার ৭৭ বর্গফুট আয়তনের ভবনটিতে থাকছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ১১ তলাবিশিষ্ট ভবনটির চত্বরে ভাস্কর মৃণাল হকের তৈরি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের দুটি ভাস্কর্য রয়েছে। দুভাগে বিভক্ত ভবনটির পূর্ব অংশে কমিশন অফিস এবং পশ্চিম অংশে ইসি সচিবালয় থাকবে; মাঝখানে থাকছে সুদৃশ্য ফোয়ারা।
ইসি সচিব আব্দুল্লাহ বলেন, “নতুন ভবনে ওঠার জন্য ইসি সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে বর্তমান সচিবালয় থেকে নতুন সচিবালয়ে সবকিছু স্থানান্তর করা হবে।”
ভবন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শেরেবাংলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, “২০১৪ সালের মার্চ থেকে আমরা কাজে হাত দিয়েছি; আগামী জুনের মধ্যে দুই ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।”
বর্তমানে শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের পাশে একই চত্বরের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে ইসি ও ইসি সচিবালয়ের অফিস। লুই কানের করা নকশা অনুযায়ী ওই চত্বর ছিল এমপি হোস্টেলের জন্য নির্ধারিত।
কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীনতার আগে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ছিল ঢাকার মোমেনবাগে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে মে মাসের শেষ দিকে ইসির একজন কর্মচারীর সহায়তায় মুক্তিসেনারা ওই কার্যালয়টিতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এরপর নির্বাচন কমিশন প্রথমে সচিবালয়ে এবং পরে ১৯৭৩ সালে বর্তমান ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়। এখন জেলা নির্বাচন, থানা নির্বাচন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত উইংয়ের কাজ চলছে ভাড়া বাড়িতে।