রাষ্ট্রদ্রোহ ও উসকানির দুই মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে পুলিশ প্রতিবেদন হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
Published : 28 Nov 2016, 08:47 AM
মান্নার পাসপোর্ট যদি এর আগে জমা দেওয়া না থাকে, এই জামিনের জন্য তাকে তা জমা দিতে হবে।
মান্নাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন ইদ্রিসুর রহমান, সঙ্গে ছিলেন শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আদেশের পর ইদ্রিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিন হওয়ায় মান্নার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।”
নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিআলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় সেনা বিদ্রোহে উসকানির মামলাটি দায়ের করা হয়। পরদিন মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৈধ সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টার অংশ হিসাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যাচেষ্টার মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর ৫ মার্চ একই থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। ওই মামলাতেও মান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় হাই কোর্ট গত ৩০ অগাস্ট মান্নাকে জামিন দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে ওই সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের আবেদন) করতে বলা হয় রাষ্ট্রপক্ষকে।
অন্যদিকে সেনা বিদ্রোহে উসকানির মামলায় রুল নিষ্পত্তি করে হাই কোর্ট গত ১০ নভেম্বর মান্নার জামিনের আদেশ দেয়।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ওই জামিনও ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলে।