পরিবেশ ঠিক না থাকলে আম-ছালা দুইই যাবে: ইনু

বিশ্ব নদী দিবসে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের নদীগুলোর করুণ চিত্র দেখে পরিবেশ রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন তথ‌্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2016, 12:04 PM
Updated : 25 Sept 2016, 12:04 PM

তিনি বলেছেন, “নদীমাতৃক বাংলাদেশে আজ নদী হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে নদীকে ঘিরে নানা উৎসব। দখল, দূষণের অত্যাচারে নদীর পানি আজ দূষিত। নদীর দুপাড়ে তাকালে দেখা যায় বর্জ্যের স্তূপ। ভালো নেই নদী, ভালো নেই বাংলাদেশ।”

টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সরকার অনেক কর্মসূচির সঙ্গে পরিবেশকেও ‘সমান গুরুত্ব’ দিয়ে দেখছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

“পরিবেশের উন্নয়নে যদি কিছু করতে না পারি, তবে আমও যাবে, ছালাও যাবে। পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে ধ্বংস হবে সমাজ, ধ্বংস হবে সব উন্নয়ন।”

জাতীয় জাদুঘরে রোববার নোঙ্গরের আয়োজনে ‘নদ-নদীর আলোকচিত্র’ শীর্ষক প্রদর্শনী ও উৎসব উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। ২০ জন আলোকচিত্রীর তোলা ৩৬টি ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে রক্ষা করতেই হবে। রক্ষা করতে হবে তার স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি।

নদী দখল, বর্জ্য ও পলিতে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, সঠিকভাবে ড্রেজিং না করা, অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র সাংবাদিক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের সব নজর শুধু বুড়িগঙ্গার দিকে বলে আমরা ঢাকার আশপাশে নদী বালু ও তুরাগের কী বাজে অবস্থা, তা জানি না। তবে গত ২০-২৫ বছর ধরে দখল-দূষণের যে মাত্রাটি আমি দেখেছি, তা কিছু হলেও কমে আসছে বলে ধারণা করি।”

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ‘বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন’ করে নদী রক্ষায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

নোঙর সভাপতি সুমন শামস বলেন, “সুন্দর অসুন্দরের লড়াইয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। আজকের এই প্রদর্শনী সেই তাগিদ দেবে আমাদের।”

প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে উঠে এসেছে নদী পাড়ের গ্রাম-জনপদ আর প্রকৃতির গল্প। কোথাও নদী প্রমত্তা, কোথাও ধীর আবার কোথাও ক্ষীণস্রোতা। ছবিগুলোতে উঠে এসেছে নদী ভাঙন আর দূষণের কথা।

এই প্রদর্শনী চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য খোলা থাকবে।