সাংসদকে নিয়ে ফেইসবুকে মন্তব্যের কারণে টাঙ্গাইলের এক স্কুলছাত্রকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
Published : 20 Sep 2016, 02:12 PM
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দিয়ে ওই স্কুলছাত্রকে জামিন দেন।
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে এই আদেশ আসে।
পরে খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দুই কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে কারাদণ্ডের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
কারাদণ্ড পাওয়া ওই স্কুলছাত্রকে আদালত জামিন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
“আমি আদালতকে বলেছি, ওই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে, বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের পর্যায়ে থাকা কোনো বিষয়ে এভাবে মোবাইল কোর্টে দণ্ড দেওয়া যায় না। আর আসামি যদি শিশু হয়, তাকে শিশু আইনে বিচার করতে হত। সেটাও দেখতে হবে।”
টাঙ্গাইলের ওই কর্মকর্তা হলেন, সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম।
গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় গত শুক্রবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে বলা হয়, ফেইসবুকে একটি আইডি থেকে সাংসদকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করে। পরে রোববার তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডের আদেশের পর সোমবার সকালে ওই কিশোরকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন সখিপুরের ওসি মাকসুদুল আলম।