সোমবার বেলা ১২টার দিকে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী চৌরাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করলে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন নটরডেম কলেজ, ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও উইলসের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসীর মামুন মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমরা এই সময়ের মধ্যে খুনিকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই।”
রিশা হত্যার প্রতিবাদে ৩১ অগাস্ট সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি শিবলি নোমান কাকরাইলে যান। তিনি খুনিকে ধরার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পৌঁছান। তিনি সেখানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই হত্যার বিচারের আশ্বাস দেন।
নাহিদ বলেন, “বিচারের জন্য যা যা করা দরকার আমরা সব করব।”
রিশার খুনিকে চিহ্নত করতে তিনি নিজে তৎপর আছেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি আজই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব। এই নরপশুর বিচার করতেই হবে।”
গত বুধবার দুপুরে স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজ হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এক যুবক রিশার পেটে ও হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। তিনদিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রিশার মা তানিয়া বেগমের বরাত দিয়ে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানিয়েছিলেন, কয়েক মাস আগে ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন।
“ওবায়েদ নামে ওই দোকানের এক কর্মচারী ফোন করে রিশাকে বিরক্ত করছিল। এ কারণে রিশার মা ওই মোবাইল সিমটি বন্ধ করে দেন। তার ধারণা, ওবায়েদই রিশাকে ছুরি মেরেছে।”
বুধবার ওবায়েদকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা করেছেন তানিয়া বেগম।