নন-এমপিও: বেতন-ভাতা নিয়ে প্রজ্ঞাপন ‘কেন বেআইনি নয়’

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ননএমপিওভুক্তদের বেতন-ভাতা সরকার বহন করবে না বলে ২০১১ সালের প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 08:47 AM
Updated : 25 July 2016, 11:24 AM

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৩১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ননএমপিওভুক্ত ৪৪ জনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয় বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ননএমপিওভুক্ত রিট আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

শিক্ষা সচিব, মাউশির মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, রাজশাহী, সিলেট, দিনাজপুর ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ নয় বিবাদীকে চার সপ্তাহে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যসন্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা/বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে ওই শ্রেণি শাখা/বিভাগের বিপরীতি নিযুক্ত শিক্ষকের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। তাদের বেতন-ভাতা সরকার বহন করবে না।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং এমপিওভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে চুয়াডাঙ্গার বড় শালুয়া নিউ মডেল কলেজের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেনসহ ৪৪ জন শিক্ষক রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন, যা সোমবার শুনানির জন্য ওঠে। 

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

পরে আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ) এর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান ও জনবল কাঠামো সম্পর্কিত ২০১০ সালের নীতিমালা ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়। কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে সংশোধনীতে কিছু বলা হয়নি। 

“২০১৩ সালের নীতিমালার ৫ নম্বর প্যারায় এমপিওভুক্তির শর্ত উল্লেখ রয়েছে, সেসব শর্ত রিট আবেদনকারীরা পূরণ করার পরও ২০১১ সালের পর থেকে ওই প্রজ্ঞাপনের কারণে তাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। এটি সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী, এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।’

ওই প্রজ্ঞাপনের কারণে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা দীর্ঘদিন চাকরি করলেও বেতন পাচ্ছেন না বলে জানান আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।