বর্ষা বরণের আয়োজন উৎসর্গ গুলশানে নিহতদের

নৃত্য, গীত আর বাদ্যে অসাম্প্রাদয়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্ষা বরণ করেছে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2016, 09:51 AM
Updated : 22 July 2016, 09:51 AM

শ্রাবণের সপ্তম দিন শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় বর্ষা বরণের এই আয়োজন উৎসর্গ করা হয় গুলশানে জঙ্গি হামলার নিহতদের স্মরণে।

উৎসবের শুরু হয় শিল্পী এইচএম রতনের পরিবেশনায় মেঘমল্লার রাগে।

এরপর ধারবাহিকভাবে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন, নৃত্যম, নৃত্যজন, নটরাজ, সুরবিহার এবং আদিবাসী সংগঠন গারো কালচারাল অ্যাকাডেমি।

পরে সুর বিহার, বহ্নিশিখা, সুর সপ্তক, ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমী ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, প্রিয়াঙ্কা গোপ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, অনিমা রায়, আবু বকর সিদ্দিক ও বিমান চন্দ্র বিশ্বাস।

সংগঠনের সহ-সভাপতি নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নাট্য অভিনেতা আলী যাকের, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নারী উদ্যোক্তা রূপালী চৌধুরী ও বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “আমাদের এই দেশ হবে অসাম্প্রাদয়িক চেতনার বাংলাদেশ। এখানে কেন গুলশানের মতো জঙ্গি হামলা হবে? এটা চিন্তাও করা যায় না। এ ঘটনায় চিন্তা করি... এটা কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ?”

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ২০ জনকে হত্যা করা হয়, যাদের মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন বিদেশি অতিথি।

সকালের পর্বে ধরণীকে সবুজ করার লক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের মাঝে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিকেলের পর্বে রয়েছে দলীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও একক সঙ্গীত।

সকালের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।