বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ডস রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “মাঝে মাঝে কিছু সন্ত্রাসী ঘটনা, আগুন দিয়ে পোড়ানো, নানা ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। তাতে কিছুটা হলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
“এই যে জঙ্গিদের মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে, এটাকে তারা অনেকেই অনুকরণীয় বলে মনে করেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “একের পর এক অনেক সমস্যা আমাদের সামনে এসেছে। আমরা অতি দ্রুত সেসব সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি বলেই সারা বিশ্ব আজকে আমাদের সঙ্গে আছে।”
‘বাংলার মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গির স্থান হতে দেব না’-এই প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।”
বর্তমানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী তৎপরতায়ও পরিবর্তন হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রযুক্তি যেভাবে আধুনিক হচ্ছে, ঠিক তার উল্টো দিকও আমরা দেখি।”
সেজন্য প্রশিক্ষণের ওপর সরকার সব সময় গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ‘ব্যাপক’ কাজ করে যাচ্ছে।
বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যপরায়নতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা ‘একান্তভাবে প্রয়োজন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পিজিআর এক্ষেত্রে অত্যান্ত নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “শৃঙ্খলাবোধ যে বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শৃঙ্খলাবোধের কথা মনে রেখেই আপনাদেরকে চলতে হবে।”
এসময় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তার সরকারের সময় বাজেট বৃদ্ধি, বেতন বাড়ানো, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি।
এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানো, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অতিক্রম করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পিজিআরের সংখ্যা বৃদ্ধি, আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ এ বাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পিজিআরের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর হারুনসহ সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।