বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, “গুলশান, বনানী এবং বারিধারার মধ্যে আসা-যাওয়ার যেসব অলিগলি পথ ছিল তার অনেকগুলো স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
“গুলশান, বনানী এবং বারিধারা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পাবলিক বাস রিকশা সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে ৩০টি এসি বাস গুলশানে চলার জন্য আমরা নামাব। দুইশর মত রিকশা যেগুলো সাধারণ রিকশার চেয়ে ভিন্ন কালার হবে। এগুলো শুধু গুলশানে চলার জন্য আমরা অনুমতি দেব।”
অবৈধভাবে কাউকে গুলশান-বনানী এলাকায় চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।
গত ১ জুলাই গুলশানে একটি বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিকে হত্যা করে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “গুলশানে জঙ্গি হামলার পর উদ্ধার হওয়া ৩২ জনের মধ্যে ২/৩ জনকে সন্দেহ করছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
তাদের বিষয়ে ‘এ মুহূর্তে সুষ্পষ্ট মন্তব্য করার সময় হয়নি’ জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের সংশ্লিষ্টতা আসলে ছিল কিনা নাকি তারা পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন তা সুক্ষ্মভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান বলেন, “বিদেশি এবং ডিপ্লোমেটদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্যা আইনশৃঙ্খলা সমস্যা নয় নাগরিক সমস্যা। নাগরিকদের নিয়েই মোকাবেলা করতে হবে।”
গত কয়েকদিনে বারিধারা, মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার জানান, গুলশানের ঘটনায় দায়ের করা মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।