দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন জামিন পেয়েছেন।
Published : 21 Jul 2016, 12:12 AM
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তাদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার এ জামিন দেয়।
নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।”
তবে হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন দেওয়ায় রফিকুল আমিনসহ দুইজনের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবী।
আদালতে জামিন আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই মামলায় দুইজনের জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
“আমরা বলেছি, উনারা চার বছর ধরে কারাগারে আছেন। সর্বোচ্চ সাজা যদি সাত বছরও হয় তাহলেও অনেকটা সময় ধরে তারা কারাগারে আছেন। ভাল আচরণের জন্যও রেয়াত পাবেন।”
অর্থ পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে করা ওই দুই মামলায় এখনও অভিযোগ গঠন করা হয় নি বলে আদালতকে জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী কিউসি।
“এখনও অভিযোগ গঠন করা হয় নি। বিচার কবে শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। একজন সহ-আসামি, তিনিও জামিনে আছেন। উনি (রফিকুল আমীন) অসুস্থ। উনাকে দিনে পাঁচ বার করে ইনসুলিন দিতে হয়।
“আপিল অ্যালাউড করেছেন। দায়রা জজ আদালত জামিন রিফিউজ করেছিল। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। এর ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ হয়।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, অর্থপাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
ওই দুই মামলায় রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ হয়।
এর ধারাবাহিকতায় হাই কোর্টে আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তারা।