জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আরও দুই সাক্ষীকে জেরা ও নতুন দুই জন সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছে আদালত।
Published : 14 Jul 2016, 09:24 PM
ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ মো. আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বৃহস্পতিবার সাক্ষীদের এই জবানবন্দি ও জেরা করা হয়।
এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন ঠিক করেছে আদালত।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির এই বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াসহ ছয়জন আসামি রয়েছেন। বৃহস্পতিবারের শুনানি উপস্থিত ছিলেন না বিএনপি নেত্রী।
খালেদার অন্যতম আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীর জবানববন্দি ও জেরা শেষ হয়।
“এর বাইরে বৃহস্পতিবার আরও দুইজনের জবানবন্দি নেওয়া শেষ হলো। আগামী ২১ জুলাই তাদেরকে জেরা করবেন আসামিপক্ষ।”
একই আদালতে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও চলছে।
তবে এ মামলায় খালেদার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময় চাওয়ায় শুনানি সপ্তমবারের মতো পিছিয়ে যায় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার মামলার কার্যক্রমের শুরুতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত হতে না পারায়ও সময় আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে সময় আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষীকে জেরার অনুমতি প্রদান করেন।”
এরপর গত ১৬ জুন জবানবন্দি দেওয়া সাক্ষী প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলফা ছানী ও মোখলেছুর রহমানকে জেরা করেন আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আব্দুর রেজ্জাক খান এবং তারেক রহমানের পক্ষে বোরহান উদ্দিন জেরা করেন।
পরে আদালত সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার (অব.) মঞ্জুরুল হোসেন এবং একই ব্যাংকের ডিজিএম (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদের জবানবন্দি নিয়ে আগামী ২১ জুলাই সাক্ষীর পরবর্তী দিন ধার্য করে বলে দুদকের আইনজীবী।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।