স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার দেশটি সফরে যান প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম এরইমধ্যে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার, শীর্ষ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা ছাড়াও স্লোভেনিয়ার ২৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্লোভেনিয়ার নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি এবং হালকা শিল্প খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে শুক্রবার রাজধানী লুবিয়ানার ‘বিআরডিও কনভেনশন সেন্টারে’ স্লোভেনিয়ার পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দারিয়া ভাবদেজ কুরেত ও শাহরিয়ার আলম পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় স্লোভেনিয়ার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর সফর এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক’ বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে শাহরিয়ার আলম মধ্য ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত স্লোভেনিয়ার বন্দর ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শাহরিয়ার আলম স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল ইরিয়াভির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৃহস্পতিবার দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার মিলান ব্রেগলেজ এবং স্লোভেনিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে যাওয়া একদল ব্যবসায়ীর সঙ্গেও আলোচনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ভিয়েনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে স্লোভেনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা পেলেও দুই দেশের সম্পর্ক বেশ পুরনো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসার জন্য তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশটিতে গিয়েছিলেন।