ভিসা পাওয়া এসব ব্যক্তিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিতে হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নির্ধারিত সময়ে অর্থ ফেরত না দিলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়কে ওই অর্থ উদ্ধার করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়েছিল। এর নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ এই আদেশ দিয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. রিয়াজ উদ্দিন খান।
মুরাদ রেজা পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও লিবিয়ায় লোক পাঠানোর যে চেষ্টা হয়েছিল, এই আদেশের ফলে তা ব্যর্থ হলো।”
২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটিতে অরাজকতা চলছে। বিদ্রোহীদের বিভিন্ন দল ও উপদলের মধ্যে সেখানে প্রায়ই লড়াই হচ্ছে। উগ্রপন্থি জঙ্গি দল আইএসও লিবিয়ার একটি অংশ দখল করে নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ২০১১ সালে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গতবছর ১৯ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি নাগরিকদের লিবিয়া ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে।
এরপর লিবিয়া যাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র চেয়ে শফিকুল ইসলাম, মো. দিদারুল ইসলামসহ ৭৪ ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল হাই কোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়।
আবেদনবকারীদের মধ্যে যারা ভিসা পেয়েছেন, তাদের ১৫ দিনের মধ্যে এনওসি দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয় হাই কোর্টের আদেশে।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে সোমবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।