পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর দুই মামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ

পুলিশ হেফাজতে ঢাকার মিরপুরের ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন এবং ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারের করা হত্যা মামলা স্থগিতে আসামি এক পুলিশ কর্মকর্তার আবেদন নাকচ করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2016, 03:01 PM
Updated : 17 April 2016, 01:00 PM

রোববার একই সঙ্গে দুই মামলার প্রধান আসামি এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।

তিনি আগামী ১ মার্চ সুজন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জনি হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন।

দুটি ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলা তদন্তাধীন থাকায় প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত পরিবারের করা হত্যা মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিতে আবেদন করেছিল আসামি পক্ষ।

শুনানি শেষে বিচারক কামরুল হোসেন বলেন, “হেফাজতে নির্যাতন নিবারণ আইনের মামলা স্পেশাল আইনের মামলা। এ মামলা স্থগিতের সুযোগ নেই। ”

গত বছরের ১৩ জুলাই রাতে মিরপুর থানা হেফাজতে ঝুট ব্যবসায়ী সুজনের মৃত্যুর পর ২০ জুলাই আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন তার স্ত্রী মমতাজ সুলতানা লুসি।

মিরপুর থানার তৎকালীন এসআই জাহিদের সঙ্গে এএসআই রাজ কুমার, কনস্টেবল আসাদ, রাশেদুল ও মিথুন এই মামলার আসামি।

বাদীর দাবি, গত ১৩ জুলাই রাতে তার ভাড়া বাসায় ঢুকে আসামিরা সুজনকে ডেকে নিয়ে থানা হেফাজতে হত্যা করে।

এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর গত ৬ নভেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত প্রতিবেদন দাখিল করে।

জনি হত্যার মামলাটি হয় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট, করেন জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।

মামলা অভিযোগ করা হয়, ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবীর ইরানি ক্যাম্পে গায়ে হলুদের এক অনুষ্ঠান থেকে জনিকে তুলে নিয়ে যায় এসআই জাহিদ ও তার সঙ্গীরা। এরপর হাজতে হকিস্টিক ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

এই মামলায় জাহিদের সঙ্গে অন্য দুই আসামি হলেন পুলিশের সোর্স রাশেদ ও সুমন।

২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।