দুদকের করা মামলা এবং সম্পদের হিসাব চেয়ে পাঠানো নোটিস বাতিল করতে তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 02 Feb 2016, 11:25 AM
এর ফলে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।
গত ৩১ জানুয়ারি শুনানি শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আবেদনটি আদেশের জন্য কার্যতালিকায় আসে।
ইকবাল মান্দ বানুর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত পর্যবেক্ষণসহ রিট আবেদনটি খারিজ করেছে। আদেশের কপি পেলে পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।”
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য ইকবাল মান্দ বানুকে নোটিস দেয় দুদক। এরপর হাই কোর্টে রিট আবেদন করে স্থগিতাদেশ পান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের স্ত্রী ইকবাল মান্দ বানু।
দুদক আপিলে গেলে হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত হয়। এরপর ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং তদন্ত শেষে ১৪ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৯ মে ইকবাল মান্দ বানুর জামাতা তারেক রহমানকেও সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছিল দুদক।
পরে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
ওই মামলার অনুসন্ধান চলাকালে ইকবাল মান্দ বানুর নামে-বেনামে ‘বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পেয়ে’ তার সম্পদের হিসাব চেয়ে আলাদা নোটিস পাঠায় দুদক।
সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিস জারির পর নির্দিষ্ট সময়ে কমিশনে হিসাব না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক আর কে মজুমদার ঢাকার রমনা থানায় ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি হাই কোর্টে আসেন তারেকের শাশুড়ি। আগের নোটিস বাতিল করে নতুন নোটিস দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করার আরজি জানানো হয় ওই আবেদনে।
অপরাধ প্রমাণিত হলে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী এ মামলায় তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে।