নতুন ভোটার: ব্যবধান কমলেও পুরুষই বেশি

বাংলাদেশে নারী ভোটার বাড়াতে নানা উদ্যোগের পরও নতুন খসড়া ভোটার তালিকায় পুরুষের আধিপত্য রয়ে গেছে।

সব জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০১৫ সালে নিবন্ধিত প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটারের খসড়া তালিকা শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৭ জন নতুন নাগরিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এরমধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৫ জন এবং নারী ২০ লাখ ৭০ হাজার ১৫২ জন। এ হিসাবে পুরুষ ভোটার ৫৩ শতাংশ ও নারী ভোটার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ নতুন ভোটারদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারী ৬ শতাংশ কম।

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।

২০১৩ ও ২০১৪ সালের হালনাগাদে ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ জন নতুন ভোটার পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ২৯ হাজার ৫০৬ জন আর নারী ২০ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৪ জন। 

এতে পুরুষ ভোটার ৫৬ শতাংশ ও নারী ভোটার ৪৪ শতাংশ ছিল। পুরুষ-নারীর অনুপাতের ব্যবধান ছিল ১২ শতাংশ।

ভোটার তালিকা নাম অন্তর্ভুক্তিতে ছবি তোলা (ফাইল ছবি)

তবে প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখ ভোটারের যে তালিকা রয়েছে তাতে পুরুষ ৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও নারী ৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন মনে করছে, হালনাগাদের চূড়ান্ত তালিকায় নারী-পুরুষের এ তারতম্য কমে আসবে। কারণ খসড়া ও বিদ্যমান ভোটার তালিকা থেকে মৃত ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১ জনের নাম বাদ যাবে। মৃতদের বাদ দিয়ে এবছর মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি দাঁড়াবে।

“চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর বিদ্যমান ভোটারদের নিয়ে যে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াবে তাতে নারী-পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান-সমান,” বলেন সিরাজুল ইসলাম।

খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি ও সংশোধনের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব দাবি-আবেদন নিষ্পত্তির পর ৩১ জানুয়ারি হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, এনআইডির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালাউদ্দীন, পরিচালক সৈয়দ আবু মুসা উপস্থিত ছিলেন।

‘সব নারী ভোটার হও’