বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদেশে আদালত বলেছে, যেসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফির বাড়তি অর্থ আদায় করা হয়েছে, তারা নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডে এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানাবে। এ বিষয়ে বোর্ডগুলোকে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হল। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই আদেশ অমান্য করে তা হলে তা এই আদালতের গোচরীভূত করতে বলা হচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানদের তাদের নেওয়া ব্যবস্থা প্রতিবেদন আকারে ৬ জানুয়ারি দাখিলের জন্য বলা হল।
গত বছরের ১০ নভেম্বর যুগান্তর পত্রিকায় প্রকশিত ‘এসএসসির ফরম পূরণ শুরু আট গুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামের প্রতিবেদন দেখে এই আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল দিয়েছিল।
রুল শুনানির ধার্য তারিখে এক আইনজীবী ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানে গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত ফি এবং এ আদালতের ইস্যু করা রুল ও আদেশ অমান্য করে বাড়তি টাকা নিচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর আরেকটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৪০০ টাকা। অথচ বাড়তি ফি নেওয়া হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ওই দিন আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেয়।
ময়মনসিংহে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন।
পরে ৬ জানুয়ারি এক আদেশে আদালত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে, তা ফেরত দিতে সময় বেঁধে দেয়।
এরপর ডেইলি সানের প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোজাম্মেল, যার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবারের আদেশ হয়।
আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোর্ড নির্ধারিত ফির এর অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
আইনজীবী মোজাম্মেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বতঃপ্রণোদিত রুলের পরও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে যারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।”