সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তারের পর পালানোর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ।
এরপর বিকালে আদালতে তোলা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী মাসুদ শেখ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের এসআই সৈয়দ শাফায়েত হোসেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসান জানান, "পালানোর পর রেজাউল পুরান ঢাকার ওয়ারিতে স্ত্রীকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর 'পুলিশ সোর্স' ব্যবহার করে কৌশলে তাকে কোর্ট এলাকায় নিয়ে আসা হয়।"
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে কোর্ট চত্বর থেকেই রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ আহাদুজ্জামান মিয়া।
গ্রেপ্তারের পর কোর্ট হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মোফাখখারুল ইসলাম দণ্ডবিধি ২২৪ ধারায় পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর অভিযোগে রেজাউলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
রাজধানীর কাফরুল থানার ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি এসআই রেজাউল করিম। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ফারুককে খুন করা হয়।
কাফরুল থানার এসআই নুরুজ্জামান ও পুলিশ সোর্স রতন বাবুও এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
রোববার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত তারিখে রেজাউল, নুরুজ্জামান ও রতন জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন।
বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজাতে পাঠানোর আদেশ দিলে পুলিশ এই তিন আসামিকে কোর্টে হাজতে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পালিয়ে যান রেজাউল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, হাজতে ঢোকানোর পর রেজাউল নিজের আসামি পরিচয় গোপন করে পুলিশ পরিচয় ব্যবহার করে প্রহরীদের ফাঁকি দেয়।
“তিনজনের মধ্যে রেজাউল বেরিয়ে আসে এবং গেইটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলকে বলে, ‘আমি একজন দারোগা, প্রস্রাব করার জন্য ভেতরে ঢুকেছিলাম’। এই বলে বেরিয়ে যায় রেজাউল।”
রেজাউল পালালেও নুরুজ্জামান ও রতন হাজতে থেকে যান।