রোববার বিকালে এই ঘটনা ঘটে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএইচএম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
রাজধানীর কাফরুল থানার ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী হত্যামামলার আসামি এসআই রেজাউল করিম। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তাকে খুন করা হয়।
একই থানার এসআই নুরুজ্জামান ও পুলিশ সোর্স রতন বাবুও এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
উপকমিশনার কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল।
রেজাউল, নুরুজ্জামান ও রতন আদালতে হাজির হয়ে জামিন বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন।
বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজাতে পাঠায়। তখন তিনজনকে প্রসিকিউশনের পুলিশ ও কাফরুল থানার পুলিশ কোর্টে হাজতখানায় নিয়ে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, ঢোকানোর পর রেজাউল আসামি হিসেবে নিজের পরিচয় গোপন করে পুলিশ পরিচয় ব্যবহার করে প্রহরীদের ফাঁকি দেয়।
“তিনজনের মধ্যে রেজাউল বেরিয়ে আসে এবং গেইটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলকে বলে, ‘আমি একজন দারোগা, প্রস্রাব করার জন্য ভেতরে ঢুকেছিলাম’। এই বলে বেরিয়ে যায় রেজাউল।”
রেজাউল পালালেও নুরুজ্জামান ও রতন হাজতে থেকে যান।
এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হবে জানিয়ে উপ-কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, “এই ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”