বৃহস্পতিবার সিটি মেয়র শরফউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু এই বরখাস্তের আদেশ দেন।
মেয়র ঝন্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে না জানিয়ে প্রকৌশলী এমদাদ অনিয়মের মাধ্যমে প্রকল্পের কাগজপত্র মূল্যায়ন করে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে পাঠান।”
“এ ধরনের কাজ চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও অসদাচরণের সামিল। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
মেয়রের স্বাক্ষরিত বরখাস্ত আদেশে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের চলমান সিজিপি (সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্ট), এমজিএসপি (মিউনিসিপ্যাল গভর্নেন্স সার্ভিসেস প্রজেক্ট) ও ইজিপি (ইলেট্রিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) দরপত্রের কার্যক্রমের মূল্যায়নসহ অন্যান্য বিষয়ে মেয়রকে অবহিত না করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজেই মূল্যায়ন করে তা ঢাকায় প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে পাঠান।
“এর ফলে প্রকৌশলী এমদাদ নিম্নদর দাখিল করা ঠিকাদারদের কাগজপত্র যাচাই না তাদের অযোগ্য ঘোষণা করেন এবং উচ্চ দরদাতা ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।”
তবে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালে প্রকৌশলী এমদাদ বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে জানান মেয়র ঝন্টু।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, “বরখাস্তের আদেশ পেয়েছি। যথাযথ নিয়ম মেনেই প্রতিটি প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। এরপরও কেন বরখাস্ত করলেন তা বোধগম্য নয়।”