জাতিসংঘের নেওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ ভালো করবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
Published : 06 Oct 2015, 12:22 AM
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের একথা জানান।
এই বৈঠকে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ নিয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আইটিইউ’র ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৬ সেপ্টেম্বর সংস্থার মহাসচিব হাউলিন ঝাও শেখ হাসিনার হাতে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ তুলে দেন।
তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা (আইটিইউ) বাংলাদেশকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে। পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অফ দি আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এই দুই পুরস্কার পাওয়া এবং সফল সফরের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইপিইউ এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। পুরস্কারটি এবার প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে। এবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তা পেয়েছেন।”
জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের এসডিজি গ্রহণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “২০১৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইসিটি একটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে। সেই কনটেক্সেই আইপিইউ এই পদক চালু করেছে।
“এতে বোঝা যাচ্ছে, এসডিজি বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ ভালো করবে। এই ব্যপারে সবাই আশাবাদী। এই অর্জনে যেহেতু আইসিটি একটা নিয়ামক হবে, সেই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বিশাল অর্জন বিশ্ব স্বীকার করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার তরুণ সমাজকে উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, “এর কারণ হচ্ছে যে অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে এই পদক পেয়েছেন, সেই অর্জনকে প্রজন্মান্তরে নিয়ে যাবে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ।”