অবৈধ ভিওআইপি: ধরিয়ে দিলে লাখ টাকা

অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে জড়িতদের পরিচয় বা ঠিকানা দিতে পারলে এক লাখ টাকা পর্য‌ন্ত পুরস্কার দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2015, 10:01 AM
Updated : 3 Sept 2015, 11:37 AM

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এম রায়হান আখতার স্বাক্ষরিত এক আদেশে বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান দণ্ডনীয় অপরাধ।

“এ সকল অপরাধীদের পরিচয় বা ঠিকানা দিতে পারলে এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এর সত্যতা প্রমাণিত হলে তথ্যদাতাকে এক লাখ টাকা পর্য‌ন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।”

যে কেউ সরাসির ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য দিতে পারবেন। তথ্যদাতার নাম, পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রাখা হবে।

এদিকে আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামও (আইওএফ) অবৈধ ভিওআইপি পরিচালনাকারীদের তথ্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্য‌ন্ত পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সম্প্রতি আইজিডব্লিউ অপারেটররা কলরেট শূন্য দশমিক শূন্য এক পাঁচ (০.০১৫) ডলার থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক শূন্য দুই ডলার করলে বৈধ আন্তর্জাতিক কল কমে যায়।

এরপর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এসব বৈঠকেই পুরস্কার ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৯ থেকে সাড়ে ৯ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল হয় বৈধভাবে। কিছুদিন আগেও এর পরিমাণ ছিল ১১ থেকে সাড়ে ১১ কোটি মিনিট।

গতবছর সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগে ‘ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট’ কমিয়ে আনার পাশাপাশি গেটওয়েগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটের সর্বনিম্ন রেট শূন্য দশমিক শূন্য তিন (০.০৩) ডলার থেকে কমিয়ে সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক শূন্য এক পাঁচ (০.০১৫) ডলার করা হয়।

এই কল থেকে যে রাজস্ব আয় হয় তার ৪০ শতাংশ বিটিআরসি, ২০ শতাংশ ইন্টারন্যাশনাল গেইটওয়ে প্রতিষ্ঠান (আইজিডব্লিউ), ১৭.৫ শতাংশ ইন্টারকানেকশন এক্সচেইঞ্জ প্রতিষ্ঠান (আইসিএক্স) এবং ২২.৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অপারেটর বা এক্সেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস (এএনএস) পাচ্ছে।