কুমিল্লায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বেলাল হোসেন ওরফে জিরা সুমন নামে ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যাকে একজন ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ বলা হচ্ছে।
Published : 02 Sep 2015, 09:11 AM
নিহত সুমন কুমিল্লা শহরের অশোকতলা এলাকার শাহজাহান সাজুর ছেলে।
তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি একেএম মঞ্জুর আলম জানান।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে কুমিল্লা সদরের পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনায় সুমনের সহযোগী জামাল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়েছে।
এছাড়া চারটি অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে সহিদ, স্বপন ও জাকির নামে আরও তিনজনকে।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের চার সদস্যও ‘আহত’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভুইঁয়া জানান, তিনি, ওসি মঞ্জুর আলমসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাইক্রোবাসে করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অভিযান শেষে শহরের দিকে ফেরার পথে গোমতি নদীর ওপর পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় ৮/১০ জন ‘ডাকাত’ হামলা চালায়।
“এতে মাইক্রোবাসের সামনের কাচ ভেঙে যায়। ডাকাতরা গুলি শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছু সময় গোলাগুলি চলার পর ডাকাত দলের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ ওই দুইজনসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে।”
গুলিবিদ্ধ দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের এস আই শাহ কামাল আকন্দ জানান।
আটকদের কাছে তিনটি এলজি, একটি রিভলবার, একটি ছোরা, একটি রড ও পাঁচটি মুখোশ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
ওসি মঞ্জুর আলম জানান, গত বছরের ৬ নভেম্বর দুপুরে কুমিল্লার ঝাউতলায় ‘জিরা সুমনকে’ ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফিরোজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। সুমনের দলের ছেলেরা ফিরোজের পিস্তলও কেড়ে নিয়ে যায়।
গতবছর ৯ নভেম্বর সদর উপজেলার আলেখার চর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘সুমনের সহযোগী’ রাব্বী ও জনি নিহত হন।