শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কয়েকশ মানুষ এ জানাজায় অংশ নেন।
সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে কাজী জাফরের মরদেহ টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে নিয়ে আসা হয়। জানাজা পরিচালনা করেন স্থানীয় আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিচার্স সেন্টার মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুর রহমান।
জানাজা শেষে কফিন আবার কাজী জাফরের গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরও দুই দফা জানাজার পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়ায়।
সেখানে গ্রামের বাড়িতে কাজী জাফরকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা যান কাজী জাফর আহমদ, যিনি জিয়াউর রহমানের সরকারে শিক্ষামন্ত্রী এবং এইচ এম এরশাদের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্রনেতা কাজী জাফর ১৯৬৬ সালে ‘চীনপন্থী’ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে টঙ্গীর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে শ্রমিকনেতা হিসেবে পরিচয় গড়ে ওঠে তার।
টঙ্গীর সাবেক শ্রমিক নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “পাকিস্তান আমলে কাজী জাফর টঙ্গী শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের সংগঠিত করতে নেতৃত্ব দেন। সেই থেকে টঙ্গী এলাকায় শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।”
টঙ্গীতে জানাজা করার কথা কাজী জাফর নিজেই মৃত্যুর আগে পরিবারকে বলে গিয়েছিলেন বলে হাসান উদ্দিনের দাবি।
সাবেক সাংসদ গোলাম সারোয়ার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন কায়সার, আহম্মদ আলী রুশদী, কাজী জাফরের জামাতা সৈয়দ আলমাস কবীরও এ জানাজায় অংশ নেন।
দীর্ঘ তিন দশক জাতীয় পার্টির সঙ্গে থাকার পর ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর কাজী জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর দলের একাংশকে নিয়ে জাতীয় পার্টি নামেই নতুন দল গঠন করে গতবছর ২৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন তিনি।
জোটের এই শরিক নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাসায় যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।