স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও নবজাতককে দেখে ওই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেছেন, ওই সংঘর্ষে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ও বিবেচনা করা হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মন্ত্রী নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন নবজাতক ও গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তার মা নাজমা খাতুনের শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসার ঘোষণা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন।”
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া গুলিতে নিহত হন।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুই দিন পর তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে নাজমাকেও একই হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে মা ও নবজাতককে দেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,“চিকিৎসকদের সেবায় গুলিবিদ্ধ শিশুটি নিরাপদে রয়েছে।”
সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিহত মোমিনের ছেলে রুবেল ভূঁইয়া ২৬ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সেন সুমনকে প্রধান আসামিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় হত্যাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
সুমনসহ ছয় জনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক না কেন গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে।”
মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়েরুজ্জামান লিটন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. দীন মো. নুরুল হক, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানসহ নবজাতকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।