মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটির অবস্থা উন্নতির দিকে

মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভূমিষ্ঠ শিশুটির অবস্থা উন্নতির দিকে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। স্বজনরাও বলছেন, শিশুটিকে এখন আগের চেয়ে ভালো মনে হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 06:06 PM
Updated : 3 August 2015, 06:08 PM

এদিকে ওই সংঘর্ষের মামলার আরও দুই আসামিকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে মাগুরা পুলিশ। এনিয়ে আলোচিত এই ঘটনার মামলার ছয় আসামি গ্রেপ্তার হলেন।

মাগুরায় গত ২৩ অগাস্ট সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃস্বত্তা নাজমা বেগম। গুলি তার গর্ভস্থ সন্তানকেও বিদ্ধ করে।

মাগুরা হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে কয়েকদিন আগে নাজমাও ঢাকায় আসেন।   

ঢাকা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানিজ হাসিনা শিউলী সোমবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “শিশুটির অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।”

শিশুটির চাচা রেজওয়ান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ভাবি আলাদা ওয়ার্ডে থাকলেও প্রতিনিয়ত ভাতিজিকে বুকের দুধ খাইয়ে আসছেন।

“তার (শিশুটি) অবস্থা দিন দিন উন্নতি হচ্ছে দেখে আমাদের অনেক ভালো লাগছে,” বলেন রেজওয়ান।

সোমাবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গুলিবিদ্ধ মা নাজমা এবং তার নবজাতক শিশুকে দেখতে হাসপাতালে যান।

মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অপরাধী যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

তিনি মা ও শিশুর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং নাজমার কাছে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরও সোমবার গুলিবিদ্ধ মা ও শিশুকে দেখতে যান এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মো. আসাদুজ্জামানের ছেলে।

মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় ওই সংঘর্ষে জড়িতরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের মদদ পাচ্ছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল, তার এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন গুলিবিদ্ধ নাজমার দেবর কামরুল ভূইয়া। তিনি মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।