ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাই বাড়ী মহিলা কলেজে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত মহিলা কলেজের ভর্তি খাতায় ২৯ জন ভর্তি হওয়ার কথা লেখা হয়েছে। এদের কেউ অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হয়নি।
স্থানীয় জহুরুল ইসলামের মেয়ে লিপি খাতুন জানান, তিনি জানেন না ওই কলেজে এইচএস সিতে ভর্তি হয়েছেন কি না।
অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিপির মতো ববিতা খতুন, রোজিনা, রুপসী খাতুনের বাড়ি গিয়ে তাদের কাগজপত্র নেন।
লিপি জানান, “স্যার বলেছেন আর তোমার কিছু করতে হবে না, তুমি ভর্তি হয়ে গেছ। এমন কথা সবাইকে বলেছেন।”
পশ্চিম গুয়াডহরী গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, “জানতে পেরেছি গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজে একজন ছাত্রীও ভর্তি হয়নি। অধ্যক্ষ আমার মেয়ে বিজয়ী খাতুনের কাগজ পত্র নিয়ে যান, আর বলে কিছু করতে হবে না। ভর্তি হয়ে যাবে।
“এখন পত্রিকায় দেখছি আমার মেয়ের ভর্তি হয়নি।”
এমনকি ওই কলেজের কোনো ছাত্রীই ভর্তির আবেদন করেনি বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছাত্রদের নাম সংগ্রহ করে তাদের বাড়ি গিয়ে কাগজপত্র নিয়েছি।
“পরে ব্যাংক ড্রাইফের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৬০ জন ছাত্রী ভর্তি করেছি। অনলাইনের প্রয়োজন নেই।”
এ ব্যাপারে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল হায়াত বলেন, অধ্যক্ষ ছাত্রীদের অনলাইনে আবেদনে বাধা দিয়ে অন্যায় করেছেন। সরকারের কাজে সহায়তা করেননি।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে, অনলাইনে আবেদন করার সময় আরও একমাস আছে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।