শুক্রবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয় বলে চন্দ্রবতী একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চন্দ্রাবতী একাডেমি প্রকাশিত এই গ্রন্থগুলো হলো- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর রাষ্ট্র ও সংস্কৃতির সামাজিকতা, আনিসুজ্জামানের আত্মপরিচয় ভাষা-আন্দোলন স্বাধীনতা, হাসান আজিজুল হকের কথা কথাসাহিত্য, হায়াৎ মামুদের বাংলাদেশ: সাংস্কৃতিক ও আত্মপরিচয় এবং সনৎকুমার সাহার রবীন্দ্রনাথ: তাঁর আলোয় তাঁর ছায়ায়।
অনুষ্ঠানে এ পাঁচটি বইয়ের উপর আলোচনা করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক-প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা সাহিত্য বিকাশে প্রবন্ধের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন; প্রাবন্ধিক তথা মননশীলতার চর্চাকারীদের নিরাপত্তার কথা বলেন।
মননশীল চর্চাকারীরা বারবার সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলার শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে তা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তারা।
তারা বলেন, সাম্প্রতিকালের অভিজিৎ রায় হত্যা এবং তার আগে হুমায়ুন আজাদ হত্যা প্রমাণ করে, এদেশে মননশীল মানুষগুলো নিরাপদ নয়।
এ ব্যাপারে সরকার সজাগ না থাকলে কিংবা হত্যার বিচার সময়মতো না করা হলে অনেক কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বই সম্পর্কিত আলোচনার পর লেখকের অনুভূতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন চন্দ্রাবতী একাডেমির নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামান কাজল।
শিশুসাহিত্যিক আলী ইমামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।