জি২০ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত নয়া দিল্লি

ভারত জি২০-র সভাপতিত্বকে বৈশ্বিক সাফল্যে রূপায়িত করার চেষ্টা করছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2024, 04:33 AM
Updated : 11 Feb 2024, 04:33 AM

বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ ২০ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি২০ সম্মেলন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরের এই সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত।

বিশাল সব বিলবোর্ড ও পোস্টার দিয়ে দিল্লির রাস্তাগুলো সাজানো হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ও অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন বার্তা লেখা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আলোকসজ্জা। এ সবকিছুর মধ্যেই বিশ্বনেতাদের বরণ করে নিতে ভারতের প্রস্তুতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। 

সারা বছর ধরে ভারতের ৬০টি শহরে জি২০ দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০০টি বৈঠক করার পর শীর্ষ বৈঠকটিকে একটি আকর্ষণীয় কূটনৈতিক প্রদর্শনীতি পরিণত করেছে নয়া দিল্লি। এমনটি এর আগে আর দেখা যায়নি। ভারত জি২০-র সভাপতিত্বকে বৈশ্বিক সাফল্যে রূপায়িত করার চেষ্টা করছে।

শনি ও রোববারের এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা নয়া দিল্লিতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসহ অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এ দুই দিন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথগতি ও বাড়তে থাকা খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য নিয়ে আলোচনা করবেন। এটি চলতি বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিক সম্মেলনগুলোর একটি।

এ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।

পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল ও মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দিচ্ছেন।

তবে এবারের সম্মেলনে জি২০ ভুক্ত প্রভাবশালী দুই দেশ চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন যোগ দেবেন না। তাদের পাশাপাশি স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরও উপস্থিত থাকছেন না।

সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াং ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

এ সম্মেলনের সাইড লাইনে মোদী ১৫টি দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। এদিন তিনি মরিশাসের নেতার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এই সম্মেলন ঘিরে দিল্লিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। নয়া দিল্লির যেসব ভেন্যুতে সম্মেলন হবে ও আমন্ত্রিত অতিথিরা যেসব হোটেলে থাকবেন, তার আশপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দিল্লিতে বসবাস করা বানর ও কুকুরের উৎপাত ঠেকাতে এসব প্রাণীদেরও যতটা সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

সংবাদ সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, এনডিটিভি, আল জাজিরা, আনন্দবাজার পত্রিকা

 
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)