৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে উভয় পক্ষ। ইরান ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি হওয়া সম্ভব। তবে এখনো কিছু বিষয় মীমাংসা হওয়া বাকী। এ বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করার মত অগ্রগতি আলোচনায় হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ।
সুইজারল্যান্ডের লুসেন শহরে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কয়েকদিন ধরে এ ম্যারাথন আলোচনা চালাচ্ছেন।
ইরানের শীর্ষ আলোচক ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আলোচনায় উভয়পক্ষে ভাল অগ্রগতি হচ্ছে। তবে কোনো চুক্তি এখনো হয়নি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় টিভিতে আরাকচি বলেন, চুক্তির আওতায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনুমোদনের বিষয়টি এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টিতে মতভেদ রয়ে গেছে।
পশ্চিমারা চুক্তির আওতায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সীমারেখা বেঁধে দিতে চায়, যাতে দেশটি একবছরের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর মত যথেষ্ট জ্বালানি না পায়।
ওদিকে, ইরান চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ওপর জোর দিচ্ছে। ইরান বরাবরই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ দাবি করে আসছে।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের জন্য মঙ্গলবারই আলোচকদের একটি কাঠামগত চুক্তিতে পৌঁছার শেষ দিন।
তবে এ সময়সীমা পার হয়ে আলোচনা বুধবার কয়েকঘণ্টায় গড়াতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।