শুক্রবারের এ ঘটনায় একই জাহাজের আরও ৩৫ জন ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার আইওএম জানিয়েছে, জাহাজটিতে ৬০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল, তাদের অধিকাংশই সিরিয়া ও তিউনিসিয়ার নাগরিক।
তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া চেষ্টা করছিল বলে শনিবার তিউনিসিয়ার একজন সিভিল প্রটেকশন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জাহাজডুবির পর কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারীরা শুক্রবারই ১২ জনের লাশ উদ্ধার করে, এরপর শনিবার আরও আট জনের লাশ খুঁজে পায়।
রোববার পর্যন্ত মোট ২৫ জনের লাশ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে আইওএম জানিয়েছে। তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
গত কয়েক মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে বেশ কিছু লোক ডুবে মারা গেছে। লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা যত বেড়েছে ডুবে মরার ঘটনাও তত বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত কয়েক বছরে কয়েক লাখ লোক ভূমধ্যসাগরের বিপদসঙ্কুল জলপথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়ে হাজির হয়েছে। এদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধকবলিত ও দারিদ্রপীড়িত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা মানুষ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।