রোববার রাতে কাবুলের উত্তর অংশে জঙ্গিদের ওই সেলটি ধ্বংস করা হয় বলে সোমবার এক টুইটে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
তবে কাবুলের বিস্ফোরণের সঙ্গে ওই অভিযানের সরাসরি কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। অগাস্টের শেষ দিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকে আফগান রাজধানীতে হওয়া এই বিস্ফোরণকে সবচেয়ে গুরুতর হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএসআইএস-খোরসান ইতোমধ্যে তালেবানের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, রাজধানীর উত্তরে কাবুলের ১৭তম জেলায় আইএসআইএসের এক সেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তালেবানের একটি স্পেশাল ইউনিট।
টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই চূড়ান্ত ও সাফল্যজনক আক্রমণে আইএসআইএসের ঘাঁটিটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ভেতরে থাকা আইএসআইএসের সব সদস্য নিহত হয়েছে।”
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যম ওই এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর দিয়েছিল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাতে তারা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।
আইএসের পাশাপাশি কাবুলের উত্তরে পানশিরের বিরোধীদলীয় নেতা আহমদ মাসুদের অনুগত অবশিষ্ট বাহিনীগুলোর সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে তালেবান বাহিনীকে। তারপরও দেশের ওপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া গোষ্ঠীটি।
কিন্তু রোববার কাবুলের বিস্ফোরণ আর সম্প্রতি পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী নানগারহার ও কাবুলের উত্তরে পারাওয়ান প্রদেশে বেশ কিছু ছোট ছোট ঘটনা দেখিয়েছে দেশটিতে নিরাপত্তা হুমকি পুরোপুরি দূর হয়নি।
নানগারহারের জালালাবাদ শহরে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এর আগে কাবুল থেকে বিদেশি নাগরিক ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের বিমানযোগে সরিয়ে নেওয়ার সময় কাবুল বিমানবন্দরের সামনে চালানো আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল তারা। এই হামলায় ১৩ মার্কিন সৈন্যসহ প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছিল।