তালেবানের আফগানিস্তান দখলে নারীদের নিয়ে মালালার উদ্বেগ

আফগানিস্তানে ক্ষমতার দখল নিতে চলেছে তালেবান। এ পরিস্থিতিতে আফগান নারী, সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2021, 05:08 PM
Updated : 15 August 2021, 05:08 PM

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া এবং জরুরি মানবিক সহায়তাসহ নাগরিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় শক্তিধরদের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানায় এনডিটিভি।

নারী শিক্ষা নিয়ে কাজ করার জন্য পাকিস্তানে তালেবানের হামলাতেই সরাসরি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি ফিরে এসেছেন নতুন জীবনীশক্তিতে।

এখন আফগানিস্তানকে তালেবানের কব্জায় চলে যেতে দেখে এক টুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মালালা লিখেছেন, “আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যেতে দেখে আমরা পুরোপুরি ধাক্কা খেয়েছি।”

“আফগানিস্তানের নারী, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা মানুষদের নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় ক্ষমতাধরদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে হবে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার পশাপাশি শরণার্থী ও সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে হবে।”

তালেবানের যোদ্ধারা রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা এবং শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যাওয়ার পর আফগান সরকারের পতন ঘনীভূত হয়েছে। তালেবানের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়েছেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার।

একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির দেশত্যাগের খবর আসার পর তালেবান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আরেক খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন কোনও সরকার নয়, তালেবান সরাসরি দেশের ক্ষমতা বুঝে নিতে চায়।

এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে তালেবানের কঠোর নিয়মে নারীদের বন্দি জীবনের ভাগ্যই ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। কাবুলে তালেবান দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সেখানকার বিভিন্ন দেয়াল থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে নারীদের ছবি।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানি শাসনামলে নারীদের মুখ, চুলসহ সম্পূর্ণ দেহ ঢাকা বোরখা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। বয়ঃপ্রাপ্ত হলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ ছিল।

এবার অবশ্য তালেবানের একজন মুখপাত্র নারীদের অধিকারকে যোদ্ধারা সম্মান দেখাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে নারী অধিকার নিয়ে তালেবানের এই বিবৃতি বিশ্বজুড়ে এই ইস্যুতে তৈরি হওয়া উদ্বেগ সাময়িক নিবারণের চেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে।