মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের প্রতীক ‘ইস্টার এগ’

বিশ্বে রোববার পালিত হয়েছে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এদিন প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে ‘ইস্টার এগ’ কে বেছে নিয়েছিলেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা।

>>রয়টার্স
Published : 4 April 2021, 04:20 PM
Updated : 4 April 2021, 04:20 PM

গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জান্তাবাহিনীর গুলিতে ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। যা গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনাঅভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সব থেকে রক্তাক্ত দিনে পরিণত হয়েছে।

ওই দিনের পর বিক্ষোভকারীরা বড় বড় নগরী ছেড়ে ছোট ছোট শহরগুলোতে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ করছিল। যদিও তাতেও রক্তঝরা থামেনি। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিক্ষোভকারীদের প্রাণ গেছে।

রোববার আবারও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মিয়ানমারের বড় বড় নগরীর সড়কগুলোতে নেমে বিক্ষোভ করে। এদিন রাজধানী নেপিডোতে দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানায় ইরাবতী নিউজ।  

রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বিক্ষোভকারীরা ডিমের উপর প্রতিবাদের নানা বাক্য লিখে সেগুলো পোস্ট করেন। সেখানে ‘বসন্ত বিপ্লব’, ‘আমরা অবশ্যই জিতব’, ‘এমএএইচ চলে যাও’ লেখা বার্তা দেখা যায়।

সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে সংগঠিত বেসামরিক জোটের মুখপাত্র ডা. সাসা এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় ইস্টার পালন করা হয়। আর গণতান্ত্রিক সরকারে অধীনে মিয়ানমারের জনগণের চমৎকার ভবিষ্যত আছে।”

রাজধানী নেপিডো ছাড়ও রোববার দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী মান্দালাইতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।

উত্তর এবং দক্ষিণের আরো কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।

সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত মিয়ানমারে সাড়ে পাঁচশর বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আরো দুই হাজার ৬৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন নারী। গত সপ্তাহে ইয়াংগনে একটি সড়কে এক ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন কে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় তাকেও আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে গুলি চালানোর পাশপাশি ক্ষমতা দখলকারী জান্তাবাহিনী ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সংগঠিত হওয়া আটকাতে চাইছে। এছাড়া, সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত দেশটির ৪০ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।