বিবিসি জানায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্টে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা নারীদের বন্ধ্যা করে দেয় বা গর্ভবতী নারীদের বেলায় এটা প্ল্যাসেন্টায় আক্রমণ করে বলে দাবি করা হয়।
যে দাবিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক লুসি চ্যালেপ। তিনি বলেন, এমন কোনো জৈবিক প্রক্রিয়ার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ এখনো পাওয়া যায়নি।
কিসের ভিত্তিতে গুজব ছড়াচ্ছে:
ফাইজারের কোভিড টিকা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এর আগে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল তার একটি লাইনের কথা উল্লেখ করে অনলাইনে কিছু মানুষ এ গুজব ছড়াচ্ছেন। ওই লাইনে বলা হয়েছিল, ফাইজারের টিকা প্রজণন ক্ষমতার উপর কোনো প্রভাব ফেলে কিনা ‘তা এখনো অজানা’।
পরে ওই তথ্য আপডেট করে স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘প্রাণী দেহের উপর পরীক্ষা করে ফাইজারের টিকায় প্রজণন ক্ষমতার উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি’।
এরপরও এখানে কিছু বিভ্রান্তির সুযোগ থেকে যায়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক চ্যাপেল বলেন, যখন বিজ্ঞানীরা বলেন এখনো কোনো ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’, এর অর্থ হলো, ‘‘এখনো নির্দিষ্ট ওই টিকা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।
‘‘কিন্তু এর মানে তো এই নয় যে এখন তাদের হাতে কোনো তথ্যই নেই। তাই আমরা আন্দাজে অন্ধকারে গুলি ছুড়বো।”
বরং নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ব্যবহার করে বানানো অন্যান্য অনেক টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘‘যেমন ফ্লুর টিকা। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্রজণন ক্ষমতার উপর এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। এমনি গর্ভবতী নারীরাও এ টিকা নিতে পারেন।
‘‘বরং কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে আপনার প্রজণন ক্ষমতায় তার প্রভাব হয়তো পড়তে পারে। তাই টিকা গ্রহণ করা থেকে এই রোগে আক্রান্ত হলে আপনার প্রজণন ক্ষমতায় কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত।”