মার্কিন কংগ্রেসের নেতাদের বাড়ি ভাংচুর

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেলের বাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2021, 09:54 AM
Updated : 3 Jan 2021, 10:17 AM

ডেমোক্র্যাট নেতা পেলোসির ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ির বাইরে কৃত্রিম রক্ত ও শূকরের একটি বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলে রাখা ছিল বলে জানা গেছে; বাড়িটিতে আনাড়ি হাতে গ্রাফিতিও আঁকা হয়েছে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান নেতা ম্যাককনেলের কেন্টাকির বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ‘আমার টাকা কই’ ছাড়াও গালিগালাজ লিখে রেখে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি মোকাবেলায় মার্কিন নাগরিকদের এককালীন প্রণোদনার অর্থ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে দুই শিবিরের দুই প্রভাবশালী রাজনীতিকের বাড়িতে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। 

প্রণোদনার অর্থ ৬০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০০ ডলার করার একটি বিল মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ৪০ রিপাবলিকান প্রতিনিধির সমর্থনসহ বিপুল ব্যবধানে পাস হলেও রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেট তাতে সম্মতি দেয়নি।

অথচ বিদায়ী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পই প্রণোদনা বাবদ এককালীন ২০০০ ডলার দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন।

“ধারের টাকা ডেমোক্র্যাটদের ধনী বন্ধুবান্ধবদের হাতে তুলে দেওয়ার তাগিদ নেই সেনেটের,” বুধবার বলেছিলেন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা ম্যাককনেল।

শনিবার তার বাড়ি ভাঙচুরের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে এ রিপাবলিকান নেতা বলেন, তার সঙ্গে ‘একমত হোন বা না হোন’, কেন্টাকির সব বাসিন্দার গণতান্ত্রিক চর্চাকে তিনি স্বাগত জানান।

“কিন্তু এটা আলাদা। আমাদের সমাজে ভাঙচুর ও আতঙ্কের রাজনীতির কোনো স্থান নেই,” বলেছেন তিনি।

সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ জানিয়েছে, তারা পেলোসির বাড়ির ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। ডেমোক্র্যাট এ স্পিকার অবশ্য এখন পর্যন্ত বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি ভিটো উল্টাতে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কোনো বিলে ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলে তা উল্টাতে দুই কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে শুক্রবার ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টটি (এনডিএএ) ৮১-১৩ ভোটে পাস হয়েছে। ট্রাম্প এর আগে তার মেয়াদে যতগুলো বিলে ভিটো দিয়েছিলেন, তার কোনোটিকেই এ পরিণতি দেখতে হয়নি।

রোববার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নতুন সদস্যদের শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।