উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আরও অনেকগুলো তিমি মৃত্যুর পথে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে বহু সংখ্যক তিমির আটকা পড়ার ঘটনাটি সোমবার প্রকাশ পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই পাইলট তিমিগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বেঁচে আছে তাদের রক্ষার চেষ্টা করছেন জীববিজ্ঞানীরা। এতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
কী কারণে তিমিগুলো তীরে চলে এসেছে তা জানা যায়নি। সৈকতে তিমি চলে আসা ওই এলাকায় সাধারণ ঘটনা হলেও ২০০৯ সালের পর থেকে এত তিমিকে একসঙ্গে সাগর থেকে উঠে আসতে দেখা যায়নি।
তাসমানিয়ান মেরিটাইম কনসারভেশন প্রোগ্রাম এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দ্বীপের ম্যাককুয়েরি হেডস নামক একটি এলাকাজুড়ে তিনটি দলে তিমিগুলোকে পাওয়া গেছে, দ্বীপের একটি প্রত্যন্ত অন্তরীপের এই এলাকাটিতে যাওয়ার তেমন কোনো রাস্তা নেই এবং জলযানও ওই এলাকায় খুব কম যায়।
প্রায় ২০০ তিমিকে একটি বালুচরে পাওয়া যায়, কয়েকশত মিটার দূরে পাওয়া যায় আরও ৩০টি তিমিকে। অন্য আরও ৩০টি তিমিকে কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় পাওয়া যায়।
“তুলনামূলকভাবে অধিকাংশ প্রাণীই দুর্গম স্থানে আছে,” বলেছেন বন্যপ্রাণী বিষয়ক জীববিদ ড. ক্রিস কার্লিয়ন।
মঙ্গলবার থেকেই প্রথম তিমিটি উদ্ধারের উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। এদিন পরিস্থিতির পুরো একটি চিত্র পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাইলট তিমি ৭ মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা এবং এর ওজন তিন টন পর্যন্ত হতে পারে।