শুক্রবার বিকালে কাবুলের কাছে তার উপর এ হামলা হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তালেবানের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত এ নারী সেসময় উত্তরাঞ্চলীয় পারওয়ান প্রদেশে একটি বৈঠক সেরে রাজধানীতে ফিরছিলেন। বন্দুকধারীর ছোড়া গুলি তার ডান বাহুতে লাগে।
এ হামলার ঘটনাকে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ‘কাপুরুষোচিত ও অপরাধমূলক’ চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খালিলজাদ।
হামলায় আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ফৌজিয়া ‘বড় ধরনের ক্ষতির’ হাত থেকে বেঁচে যাওয়ায় ‘স্বস্তিও’ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তালেবান বলেছে, তারা এ হামলা চালায়নি।
সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি প্রথমে আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আপত্তি জানিয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির পর তালেবান প্রায় দুই দশক ধরে চলা সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে আশরাফ গনির সরকারের সঙ্গে বসতে রাজি হয়।
চুক্তির অংশ হিসেবে আফগানিস্তান সরকার তাদের হাতে বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে ছেড়ে দেওয়া শুরু করে। বৃহস্পতিবার থেকে শেষ ৪০০ যোদ্ধাকে মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে।
তালেবান বন্দিরা ছাড়া পাওয়ার পরপরই কাতারে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এর মধ্যেই শুক্রবার ফৌজিয়ার উপর হামলার ঘটনা নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
“সুনির্দিষ্ট হামলার যে ধরন দেখা যাচ্ছে, তা শান্তি প্রক্রিয়াকে ঘিরে সৃষ্ট আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন আফগানিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনের প্রধান শাহারজাদ আকবর।
শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সকল পক্ষকে ফৌজিয়ার উপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন খালিলজাদ। পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে এবং আন্তঃআফগান আলোচনা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতেও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
ফৌজিয়ার উপর হামলার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।