ওমান উপসাগরে ২ ‘ট্যাঙ্কারে আগুন’, ৪৪ ক্রু উদ্ধার

ওমান উপসাগরে আগুন ধরে যাওয়া দুটি তেলের ট্যাঙ্কারের কয়েক ডজন ক্রুকে ইরান উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2019, 10:22 AM
Updated : 13 June 2019, 10:22 AM

কোকুয়া কারেজেস ও ফ্রন্ট আলটেয়ার নামের ওই দুটি জাহাজে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

উদ্ধারকারীরা দুটি জাহাজ ত্যাগ করা ২১ ও ২৩ ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থ রয়টার্স।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘একটি দুর্ঘটনার’ পর ৪৪ ক্রুকে উদ্ধারের খবর দিলেও দুর্ঘটনার কারণ জানায়নি।

মার্কিন নৌবাহিনী স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১২ ও ৭টার দিকে সাহায্যের আবেদন জানানো দুটি ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলসীমায় চারটি তেলের ট্যাঙ্কারে ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলার’ একমাস পর ওমান উপসাগরে এ ঘটনা ঘটলো।

মে-র ওই মাইন হামলায় আরব আমিরাত ‘একটি দেশের সরকারের হাত আছে’ বলে জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবারের এ ঘটনার পর ৫ মাস ধরে নিম্নগামী তেলের দাম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

ফ্রন্ট আলটেয়ারকে ভাড়া নেওয়া তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান সিপিসি কর্পোরেশনের মুখপাত্র উ আই-ফ্যাং বলেছেন, তাদের জাহাজটি ৭৫ হাজার টন ন্যাপথা পরিবহন করছিল।

“এটি একটি টর্পেডো হামলার মুখে পড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে,” মুখপাত্রের এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ওই নৌযানের সব ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও মুখপাত্র জানিয়েছেন।

ট্যাঙ্কারটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে এর স্বত্তাধিকারী নরওয়ের প্রতিষ্ঠান ফ্রন্টলাইন জানিয়েছে।

পানামার পতাকাবাহী কোকুয়া কারেজেসের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বিএসএম শিপ ম্যানেজমেন্ট বলেছে, ক্রুরা ট্যাঙ্কারটি ত্যাগ করার পর পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নৌযান তাদের উদ্ধার করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাঙ্কারদুটির নাবিকদের ইরানের জাস্ক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (ইরনা)।

কাতার থেকে তাইওয়ান যাওয়ার পথে জাস্ক বন্দরের ২৫ মাইল দূরে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ফ্রন্ট আলটেয়ারে আগুন ধরে যায়, জানিয়েছে রয়টার্স।