শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় মোজেভ মরুভূমির ওই বিমান ও মহাকাশবন্দর থেকেই কার্বন যৌগে বানানো স্ট্রাটোলঞ্চের বিমানটি আকাশে ওড়ে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দুটি আলাদা বিমানের কাঠামোকে জোড়া দিয়ে বানানো সাদা রংয়ের বিমানটিকে রোক নামে ডাকা হচ্ছে। এর পাখার বিস্তৃতি ১১৭ মিটার বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নির্বিঘ্নে আকাশে কাটিয়ে মোজেভে ফেরার পর কয়েকশ দর্শক হর্ষধ্বনি দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ানকে স্বাগত জানান।
“চমৎকার প্রথম উড়ান,” ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটা বলেছেন স্ট্রাটোলঞ্চের প্রধান নির্বাহী জেন ফ্লয়েডও।
বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ যাত্রা ও কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপনের লক্ষ্যে ২০১১ সালে মাইক্রোসফটের প্রয়াত সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের হাত ধরে কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
রয়টার্স বলছে, ৫ লাখ পাউন্ড ওজন বহন ও ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিমানটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
শনিবার অবশ্য এত উচ্চতায় উঠেনি রোক; ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৯ মাইল গতি তুলেছিল, উড়েছিল ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায়।
বিশাল এ বিমানের মাধ্যমে কম খরচে রকেট ও উপগ্রহ নিক্ষেপ করতে পারলে স্ট্রাটোলঞ্চ এলন মাস্কের স্পেসএক্স ও বোয়িং-লকহিডের ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবে। এজন্য ২০২০ সালেই রোকে থেকে প্রথম রকেট ছোড়ার লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করেছে তারা।