শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ছেলের বিয়ে উপলক্ষে গাজিয়াবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন ৫৫ বছর বয়সী ওম প্রকাশ রাস্তোগি। আরো ১১ জনকে সঙ্গে নিয়ে একটি টাটা সুমো এসইউভিতে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন তারা।
যে দিনটি রাস্তোগির জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটি দিন হতে যাচ্ছিল, ঘটনাক্রমে সেটি তার জীবনের অন্তিম দিন হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের ২৪ নং মহাসড়কের বিজয়নগর অংশে তাদের বহনকারী গাড়িটি গড়িয়ে গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়।
এতে রাস্তোগির পাশাপাশি প্রাণ হারান আরো ছয় জন, যাদের মধ্যে চার জন নারী ও একজন শিশু।
গাড়িতে থাকা আরো পাঁচ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে।
বেঁচে যাওয়া আহতরা জানিয়েছেন, চালক রাস্তার পাশে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, পাশেই ছিল একটি গিরিসঙ্কট। গাড়ির সামনের সিটে বসা একটি শিশু হঠাৎ করে গাড়িটির হ্যান্ড ব্রেক ধরে টান দিলে গাড়িটি চলতে শুরু করে এবং মহাসড়কের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নিচে গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সতীশ কুমার জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাযোগ শুনে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান গাড়িটি পানিতে ডুবে গেছে।কয়েকজন নারীকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখে তাদের সাহায্যের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
আহতদের অধিকাংশের অবস্থা গুরুতর ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহত ওম প্রকাশ রাস্তোগি রামপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার সময় তার ছেলের বিয়ের বরযাত্রার প্রায় সব গাড়ি খোডার অনুষ্ঠানস্থলে চলে গিয়েছিল। কয়েকজন নারী ও শিশু টাটা সুমোটিতে করে সেখানে যাচ্ছিলেন।
গাড়িটি গিরিসঙ্কটে পড়ে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন গাড়ির যাত্রীদের রক্ষার চেষ্টা করেছে এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর থেকে গাড়িটির চালককে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।