সোমবার দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী ‘ডিমিলিটারাইজড’ জোন এলাকার কাছে ওই গুলির ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান সুহ উক মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে সংসদ সদস্যদের জানান, পক্ষত্যাগী ওই সৈনিক প্রথমে একটি গাড়ি নিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার গাড়ির চাকা খুলে যায়। এরপর উত্তরের চার সৈনিকের গুলির মুখেই পায়ে হেঁটে সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় গুলিবিদ্ধ হলেও ওই অবস্থায়ই সীমান্ত অতিক্রমে সক্ষম হন তিনি।
আহত ওই সৈনিককে লক্ষ্য করে ৪০ রাউন্ডের মতো গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে জানান সুহ।
গুলিবিদ্ধ ওই সৈনিকের অবস্থা গুরুতর এবং তাকে বেশ কয়েকদফা অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মঙ্গলবার সকালে দেওয়া বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরীয় সরকার ও সেনাবাহিনী জানায়, চিকিৎসকরা ওই সৈনিককে বাঁচানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
“আজ সকাল পর্যন্ত তার সংজ্ঞা ফিরে আসেনি বলে শুনেছি। নিজে থেকে শ্বাস নিতেও পারছিলেন না। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে,” বলেন সুহ।
পক্ষত্যাগী ওই সৈনিকের শরীর থেকে পাঁচটি বুলেট বের করা গেলেও আরও দুটি ভেতরে রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কোরীয় চিকিৎসক লি কুক-জং সাংবাদিকদের জানান, বুলেটে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষয় হওয়ায় উত্তর কোরীয় সৈনিকের অবস্থা ‘গুরুতর’।